• চট্টগ্রামের অলি-গলিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মান করুন,বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে কারা হাত দেয় দেখতে চায়ঃ নূরুল আজিম রনি।

    সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ০৪ঘটিকায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীর ধর্মীয় ভুল ব্যাখ্যা এবং জাতির পিতাকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র লীগ।

চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিমের সভাপতিত্বে এবং মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দিন মামুন ও আনোয়ার পলাশের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র লীগ
এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক নরুল আজিম রনি,চ,সি,ক প্রশাসক, ও সিডিএ চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন চট্টগ্রামের অলিতে গলিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মান করুন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে কারা হাত দিবে তা দেখতে চাই।উক্ত মানব বন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উদার অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আজকে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল, বিভিন্ন সময়ে যারা মাথাচাড়া দিতে চেয়েছিল, তারা আবারও একত্রিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলার যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তা আমরা দেশপ্রেমী নাগরিক হিসেবে কখনো মেনে নিতে পারি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক রাশেদ হাসান বলেন, আমরা সহনশীলতা দেখানোর ফলে এসব ধর্মান্ধরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের দাবি তোলার মতো স্পর্ধা দেখাতে পারে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই। বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় সূর্য সন্তানদের ভাস্কর্য দেশের প্রতিটি জেলায় উপজেলায় স্থাপন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদীদের আস্ফালন দিন দিন বাড়ছে। তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, রাজধানীসহ সারাদেশে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা প্রদান এবং স্থাপিত ভাস্কর্য নিয়ে ধর্মীয় ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভেঙে ফেলার ভয়ঙ্কর হুমকি দিয়েছে চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী ও উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি।বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য দেশের স্বাধীনতা ও ইতিহাসের অংশ। এই প্রজন্ম ভাস্কর্য দেখে শিখবে। ইতিহাস জানবে। এটা মূর্তি কেন হবে? বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। লালনের ভাস্কর্য, হাইকোর্টের সামনের ভাস্কর্য এবং সনাতন ধর্মের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদ করেছি আমরা। মৌলবাদীদের আর কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, গণজাগরণ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সাধারণ সম্পাদক শিবু প্রসাদ চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী প্রণব চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান তারেক, আবু সাঈম সুমন, হোসেন আহমদ রুবেল, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াছিন আরফাত কচি, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনির ইসলাম।